বাংগালী ফ্রী পাইলে আলকাতরাও মাখায়” কথাটি আর সত্য নেই আজকাল বাংগালীর ফ্রীতেও আপত্তি; কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ?
“বাংগালী ফ্রী পাইলে আলকাতরাও মাখায়” কথাটি আর সত্য নেই আজকাল বাংগালীর ফ্রীতেও আপত্তি; কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ?
বাংগালী ফ্রী পাইলে আলকাতরাও মাখায়” কথাটি আর সত্য নেই আজকাল বাংগালীর ফ্রীতেও আপত্তি; কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ? |
আজ আমরা যে সকল দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় রকম ঔষুধ খাচ্ছি, তিন থেকে ছয় মাস পর পর এই টেস্ট সেই টেস্ট করাচ্ছি, গ্রাম থেকে ঢাকা গিয়ে বা ঢাকা থেকে সিংগাপুর গিয়ে টেস্ট করাচ্ছি। হাজার হাজার টাকা ঔষুধ, হাসপাতাল, আর ডাক্তারকে দিচ্ছি; তবে রোগ কিন্তু ভালো হচ্ছে না। দিনের পর দিন ঔষুধের পরিমান বাড়ছে, কিন্তু অসুখ ভালো হচ্ছে না; বরং ডাক্তার বলছে আজীবন ঔষুধ খেয়ে যেতে হবে। একথা শুনে আপনার মন খারাপ হচ্ছে, ডিপ্রেশনে যাচ্ছেন ; তার জন্য আবার ঔষুধ, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ আরো কত কি। অসুখের কারনে মেজাজ মর্জি ভালো থাকছে না, সংসারে অশান্তি । কিছু অসুখে (ডায়াবেটিস) আবার আপনি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন; কোন দিকে দুর্বল নিজেই বুঝে নিন, যার কারনে হচ্ছে দাম্পত্য অশান্তি কলহ; সত্যি বলতে কি, অসুখ নিয়ে কি আর সুখে থাকা যায় !!
মজার ব্যাপার কি জানেন? যদিও আমরা সবাই ভাবি এর থেকে মুক্তি নেই, আসলে মুক্তি কিন্তু আছে । আরো মজার ব্যাপার কি জানেন ? এটা একেবারই ফ্রী, আর ফ্রী বলেই আমাদের আপত্তি । ফ্রী জিনিসে আসলে কারো ব্যাবসা নেই, না ডাক্তারের, না হাসপাতালের, না ঔষুধ কোম্পানীর, না খাবারের কোম্পানীর কারোই কোন ব্যাবসা নেই, তাই এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না বুঝলেন তো । সবাই আছে ব্যাবসার ধান্দায় নতুন নতুন ঔষুধ বাজারে আসছে, সাথে আসছে নতুন নতুন রোগও, আসছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, হচ্ছে নামী দামী হাসপাতাল, পাড়ায় মহল্লায় গজিয়ে উঠছে প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ল্যাবগুলো, ডাক্তারদের পসার বাড়ছে, ডায়াবেটিক হাসপাতালে উপচে পড়া ভীড়, বারডেমে গেলে মনে হয় পুরো বাংগালী আজ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত । এর সাথে প্রেশার (উচ্চ রক্ত চাপ), রক্তে চর্বি, হৃদ রোগ, ব্রেইন stroke, প্যারালাইসিস তো আছেই । আর আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন, অত যে রোগ, তবে এগুলো হওয়ার পেছনে কারন কিন্তু একটাই; সেটা হল শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া। চর্বি পেটে জমে ডায়াবেটিস (Type 2), রক্তে বেড়ে পরে জমে গিয়ে রক্তনালী সরু হয়ে হয় উচ্চ রক্তচাপ, চর্বি হৃদয়ে (Heart) জমে হয় হ্রদরোগ, তেমনই ব্রেইনে( মস্তিস্ক) জমে হয় Brain stroke এবং প্যারালাইসিস ।
এখন উপায় কি? হ্যা উপায় আছে তবে সেখানে কারো ব্যাবসা নেই একেবারেই ফ্রী আর এ কারনেই বাংগালীর আপত্তি । আমরা বাংগালীরা চাই যেমন চলছি তেমনই চলবো, সমস্যা হলে ডাক্তারকে গিয়ে বলবো ঔষুধ দেন, তবে ঔষুধ নিয়মিত তো খাবোই না বরং আদেশ উপদেশ কিছুই মানবো না বরং উল্টো ডাক্তারের পিন্ডি চটকাবো রোগ কেন ভালো হয় না আর কসাই গালি তো আছেই ( ফ্রী গালিতে কিন্তু কারো আপত্তি নেই )।😜😜
আসলে কি জানেন, আমাদের যত রোগ আজ হচ্ছে তার কারন আসলে অলসতা । আমরা আসলে জাতি হিসাবে অলস😭। সবখানে ফাঁকি মারার চিন্তা। কি করে, পরিশ্রম না করে বেশী স্বার্থ উদ্ধার করা যায় সেই চিন্তা ।তবে এতে যে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন, সেটা কিন্তু বুঝতেই পারছেন না । যাই হোক কথায় কথা বাড়ে এবার আসি আসল কথায়, কি করে এই মরনব্যাধী গুলে থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
মাত্র সামান্য কয়েকটি অভ্যাস গড়া আর কিছু বদ অভ্যাস ত্যাগ করেই বিনামুল্যে এতগুলো রোগ থেকে বিনা ঔষুধে সুস্হ হওয়া এবং ভবিষ্যতেও ভালো থাকা সম্ভব ।।
যেসকল অভ্যাসগুলো বর্জন করতে হবে :
• ধুমপান, মদপান, দুধ- চিনি দিয়ে চা পান, পান, সুপারী, সাদা, জর্দা, যেকোন ধরনের নেশাযাতীয় মাদক জাতীয় জিনিস থেকে দুরে থাকা ।
• চিনি জাতীয় সকল কিছু থেকে দুরে থাকা যেমন জুস, কোল্ড ড্রিংকস, কোমল পানীয় এগুলো থেকে একশো হাত দুরে থাকা; যেখানে সামান্য চিনি সেখানেই রোগ মনে রাখবেন যত মিঠা তত তিতা ।
• ভাঁজা, পোড়া খাবার, আর দোকানের বা হোটেলের খাবার, ফাস্ট ফুড, পিজা, আইসক্রিম চকলেট এমনকি দধিও ।
• বার বার খাওয়া, বেশী বেশী দু:শ্চিন্তা পরিহার করা
• নিজেকে খুব বেশী চ্যালেন্জে ফেলে দেয়া,
• খুব বেশী সিরিয়াস হওয়া স্যোশাল মিডিয়াতে বেশী বেশী এ্যাকটিভ থাকা
• Online games খেলা যেগুলোতে কোন শারীরিক পরিশ্রম হয় না ।
• রাত জাগা পরিহার করতে হবে অবশ্যই ।
যেসকল অভ্যাস করতে হবে :
• না খেয়ে থাকা :রোজা রাখা বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
• ওজন বাড়তে না দেয়া
• নিয়মিত হাটা,জগিং, যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন করা
• প্রচুর শাক সব্জী খাওয়া,পর্যাপ্ত পানি পান করা, কচি ডাবের পানি পান করা
• ভালো চর্বি খাওয়া যেমন, অলিভ ওয়েল, নারকেল তেল সামুদ্রিক মাছ, মাখন, ঘি, বাদাম, ডিম (কুসুম সহ)
• শর্করা খাবার খুবই অল্প পরিমানে গ্রহন করা
• পর্যাপ্ত ঘুমানো, আর রিলাক্স থাকা, প্রশান্ত থাকা
• বিভিন্ন খেলাধুলা করা যেগুলোতে শারীরিক পরিশ্রম হয় যেমন, ফুটবল,ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি,
• সম্ভব হলে সাঁতার কাটা, সাইক্লিং করা দৌড়ানো।
আমরা যখন রোজা রাখি তখন শরীর থেকে সকল বর্জ্য পরিস্কার হয় এবং খারাপ কোষগুলোকে মেরে ফেলা হয় আর ভালো কোষ দিয়ে প্রতিস্হাপন করা হয় (Autophagy ), চর্বি গলিয়ে শক্তিতে পরিনত করে সেটা ব্যাবহার হয় শরীরের বিভিন্ন কাজে। তাই রক্তনালী পরিস্কার হয়, ফ্যাটি লিভার ভালো হয়, ব্রেইনে জমে থাকা প্রোটিন এবং ফ্যাট (চর্বি) পরিস্কার হয়, তদ্রুপ হ্রদপিন্ডের রক্তনালীতে জমে থাকা চর্বিও পরিস্কার হয়ে যায় এবং হ্রদপিন্ডে অক্সিজেন পৌছাতে আর কোন বাঁধা থাকে না ।
চর্বি গলার প্রধান বাধা হল ইনসুলিন; যে কিনা চর্বি গলতে বাধা প্রদান করে , আর চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে রক্তের ইনসুলিন বেড়ে যায় ; আর ইনসুলিনের উপস্হিতিতে চর্বি গলতে পারে না । একারেন শর্করা খাওয়া যত কম খাওয়া যায়, আর বেশীক্ষন খালি পেটে থাকা যায় ততই ইনসুলিনের লেভেল কমে যায় আর তখনই চর্বি গলতে আর বাধা থাকে না ।
আমরা যখন দু:শ্চিন্তা গ্রস্হ থাকি তখন যে হরমোনগুলো নি:সৃত হয় সেগুলো মুলতো Steroid জাতীয় তাই সেগুলো ওজন বাড়াতে এবং চর্বি জমাতে সাহায্য করে । তাই দু:শ্চিনেতা পরিহার জরুরী । ঠিক একারনেই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরী এবং ভালো কোয়ালিটি স্লিপ (ঘুম) হতে হবে ।
আর শারীরিক এ্যাক্টিভিটি করতে হবে ; এতে করে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকবে ।
আর এগুলো সবই বিনামুল্যে !! না ঔষুধ কিনতে হবে, না ডাক্তার দেখাতে হবে, না পরীক্ষা করাতে হবে; তাই এখানে কারো ব্যাবসা নেই । এভাবে চললে না থাকবে ডায়াবেটিস হাসপাতালের রমরমা ব্যাবসা, না থাকবে বাহারী খাবারের ব্যাবসা, না থাকবে ঔষুধ কোম্পানীর ব্যাবসা, আর কসাইরা (ডাক্তার) তো রোগী না পেয়ে বিদেশ পাড়ি জমাবে অথবা চেম্বারে মাছি মারবে (ইদানিং মাছি মারার লোক কমে গেছে )। আসুন না সবাই মিলে এসব কাসাইদের দেশ থেকে বিতাড়িত করি, নিজে সুস্হ থেকে সবার ব্যাবসার লাল বাতি জ্বালাই । সম্পূর্ন বিনামুল্যে ।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন