আদালতের দ্বারস্থ হলেন আনুশকা শর্মা
বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে অভিনেত্রী দুটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তবে তিনি নিজে সরাসরি পিটিশন দাখিল করেননি, আইনজীবীর মাধ্যমে পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি নিতিন গডসে জানিয়েছিলেন, কেন অভিনেত্রী নিজে পিটিশন জমা দিলেন না, আইনজীবীর মাধ্যমে কেন দিতে হলো? জানা যায়, অভিনেত্রী ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ সালে কর জমা দেননি। ২০১২-১৩ সালে অভিনেত্রীর মোট উপার্জনের কর হয়ে দাঁড়িয়েছিল ১২.৩ কোটি টাকা। যার সুদ হয় প্রায় ১.২ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ সালে অভিনেত্রীর মোট সম্পত্তির কর ছিল ১৭ কোটি টাকা, যার বিবেচ্য সুদ হয় ১.৬ কোটি টাকা। কোনো করই তিনি পরিশোধ করেননি বলে অভিযোগ। উল্টো অভিনেত্রী মহারাষ্ট্র ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স অ্যাক্টের অধীনে ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ মূল্যায়ন বছরে বকেয়া বাড়ানোর জন্য মাজগাঁওয়ের ডেপুটি কমিশনারের দেওয়া আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।
এদিন আদালতের বিচারক নীতিন জামদার এবং অভয় আহুজার নির্দেশে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আনুশকা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মামলাটি শুরু হবে। এদিকে আনুশকা সেলস ট্যাক্স বিভাগের আদেশ বাতিল করার অনুরোধ করেছেন আদালতে।
আনুশকা মনে করেন, তিনি একজন অভিনেত্রী হওয়ায় ট্যাক্স কর্মকর্তারা তাঁকে উচ্চ হারে মূল্যায়ন করেছেন। আনুশকা ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মোট চারটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ডিসেম্বরে হাইকোর্ট ট্যাক্স আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার পর গত সপ্তাহে তিনি নতুন পিটিশন দাখিল করেন। আনুশকা শর্মা আরো যুক্তি দেন যে তিনি যশরাজ ফিল্মস, প্রযোজক এবং ইভেন্ট সংগঠকদের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অভিনয় করেছেন।
২০১২-১৩ সালে তাঁকে ১.২ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছিল এবং পরের বছর তিনি ১.৬ কোটি টাকার নোটিশ পেয়েছিলেন। আনুশকার দাবি, তাঁকে কোনোমতেই চলচ্চিত্রের স্রষ্টা বা প্রযোজক বলা যায় না। যা হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলো ভুল, কারণ তিনি ছবির প্রযোজক নন। তাই ছবিটির কপিরাইটের মালিক তিনি নন।
তিনি আরো বলেছিলেন যে বিতর্কিত ট্যাক্সের ১০ শতাংশ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়ের করতে পারতেন না।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন